২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আঁতাত ছিল বলে বিশ্বাস করেন অর্ধেক মার্কিন নাগরিক। তবে দেশটির বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার ইতোমধ্যে আঁতাত বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তারপরও দেশটির প্রায় অর্ধেক নাগরিক মনে করেন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্যে রাশিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করেছে।
ইপসোস শীর্ষক প্রতিষ্ঠান এবং ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক যৌথ জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় রিপাবলিকান পার্টি ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো আঁতাত হয়েছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রবার্ট মুলারকে। দেশটির বিচার বিভাগ তাকে এ দায়িত্ব দেয়।
প্রায় দুই বছর পর প্রতীক্ষিত এ তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেন মুলার। তবে প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প তার পদকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে বিচার বাধাগ্রস্ত করেছেন, সে বিষয়ে কোনো উপসংহার টানেননি তিনি। আবার ট্রাম্পের কোনো দায় ছিল না, এমন কথাও বলা হয়নি মুলারের দেওয়া প্রতিবেদনে।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই যৌথ জরিপের উদ্যোগ নেয় ইপসোস এবং রয়টার্স। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার আঁতাতের বিষয়ে মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন অর্ধেক মাার্কিন নাগরিকই বিশ্বাস করেনি। নির্বাচনে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের আঁতাতের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাদের বিশ্বাস, ট্রাম্প অথবা তার নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের কেউ এই আঁতাতের সঙ্গে যুক্ত ছিল। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করাই ছিল এর লক্ষ্য।
তবে এক সপ্তাহ আগে যেখানে ৫৪ শতাংশ মানুষই মনে করতেন রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের আঁতাত রয়েছে। মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখন সেখানে এমনটা মনে করেন ৪৮ শতাংশ মানুষ।
৫৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন এ সংক্রান্ত তদন্ত বন্ধ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। এক সপ্তাহ আগে এমনটা মনে করতেন ৫১ শতাংশ মানুষ।
২০১৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ছিল আলোচিত হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের সঙ্গে মস্কোর কথিত আঁতাত নিয়ে পরিচালিত তদন্তের শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান দলের শীর্ষ নেতারা। এই তদন্তকে তারা বিভিন্ন সময়ে বর্ণনা করে এসেছেন ‘উইচ হান্ট’ হিসেবে।
এদিকে, ডেমোক্রেট দলীয় নেতৃবৃন্দ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ও প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি দ্রুত প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।