খুলেছে মসজিদ, স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতিও

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বন্দুকধারীর চালানো নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বন্ধ রাখা আল নুর মসজিদটি মুসল্লিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রথমবারের মতো ওই মসজিদে কিছু মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গত ১৫ মার্চ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে এবং লিনউড মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসলিমদের ওপর আধা স্বয়ক্রিয় বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় অস্ট্রেলীয় যুবক ব্রেনটন টারান্ট।

ওই দুটি হামলায় ৫০ জন নিহত হন। এর মধ্যে পাঁচ জন বাংলাদেশি। আহতও হন ৫০ জন। হামলার মুখে পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তখন সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। 

বিবিসি জানায়, মসজিদে হামলা হওয়ার পরই তদন্তের স্বার্থে এগুলো বন্ধ রাখা হয়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে আল নুর মসজিদের দায়ভার বুঝে দেওয়া হয়। এরপর কিছু মানুষ সেখানে প্রবেশ করেন।

আল নুর মসজিদের একজন স্বেচ্ছাসেবক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে আমরা একসাথে ১৫জনকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি। তবে কবে থেকে পুরোপুরিভাবে মসজিদটি সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে তা জানাতে পারেননি তিনি।

শুক্রবার মসজিদ খুলে দেওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্বাভাবিক হতে থাকে ক্রাইস্টচার্চের। শনিবার ক্রাইস্টচার্চে প্রায় ৩ হাজার মানুষ ওই ঘটনায় নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে \’মার্চ ফর লাভ\’ কর্মসূচি পালন করেছেন।

ক্রাইস্টচার্চের রাস্তায় নীরবে হেঁটে গেছেন ওই হামলার প্রতিবাদকারীরা। এসময় তাদের হাতে শান্তি কামনা করে এবং বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্লেকার্ড বহন করতে দেখা গেছে।

নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার দায়ে গ্রেফতার ব্রেনটনকে এরই মধ্যে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে থাকা এই যুবকের বিরুদ্ধে আরও অভিযাগ দায়ের হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আডের্ন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এরই মধ্যে স্বয়ংক্রিয়া রাইফের নিষিদ্ধ করে পরিবর্তন আনা হয়েছে অস্ত্র আইনেও। 

Scroll to Top