ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ককে একটি চিঠি লিখেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বুধবার (২০ মার্চ) এই চিঠিটি লেখেন তিনি।
দুই পাতার এই চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘সুশৃঙ্খলভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও বদ্ধপরিকর ব্রিটেন। কিন্তু পরিস্থিতি এমনই যে, নয়দিনে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যাবে না। তাই আরও তিন মাস, অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়া হোক। ব্রিটেন কথা দিচ্ছে, ৩০ জুনের পরে ইইউ ছাড়তে আর এক দিনও দেরি করবে না।’
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ঠিক হয়েছিল, আরও দুইমাস অর্থ্যাৎ ২২ মে পর্যন্ত ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেয়ার কথা বলা হবে। কিন্তু থেরেসা মে তিন মাস বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানালেন।
তিন বছর আগে ব্রিটেনে এক গণভোটের পরে ব্রেক্সিটের দিন ধার্য হয়েছিল এ বছরের ২৯ মার্চ। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে, বিষয়টি তত স্পষ্ট হয়েছে যে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সব দলের এমপিদের সহমত হওয়া সহজ নয়। তাই তার ব্রেক্সিট চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিলমোহর পেয়ে গেলেও পার্লামেন্টের ঘরোয়া ভোটাভুটিতে বারবার হারতে হয়েছে থেরেসা মেকে।
সেই কথাই ডোনাল্ড টাস্ককে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তারিখ উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে বারবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তার চুক্তি খারিজ হয়ে গেছে। তবে একই সঙ্গে থেরেসা মে উল্লেখ করেছেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে সায় নেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের। এবং এই অবস্থায় ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়াই যে ঠিক হবে, সেটাও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ঠিক হয়েছে। দেশের এমপিদের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়ে থেরেসা মে তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন, আরও তিন মাস পিছিয়ে দেয়া হোক ব্রেক্সিট।