জনসম্মুখে আলিঙ্গন করা, হাত ধরা ও শারীরিক সম্পর্কের দায়ে এবার বেত্রাঘাত করা হলো ইন্দোনেশিয়ার একাধিক অবিবাহিত জুটিকে। গতকাল বুধবার পাঁচ জুটিকে মসজিদের বাইরে চার থেকে ২২ বার বেত্রাঘাত করা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার বান্ডা আচে শহরের ধার্মিক পুলিশ ওই পাঁচ জুটিকে আলিঙ্গন ও হাত ধরতে দেখে আটক করেন। আচে শহরের ইসলামিক আইন অনুযায়ী, সেখানে বিবাহোত্তর শারীরিক সম্পর্ককে ঘোরতর অপরাধ হিসেবে দেখা হয়।
বুধবার মসজিদের বাইরে তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার সময় শিশুসহ শত শত দর্শক উপস্থিত হন এবং পুরো প্রক্রিয়াটি তাদের মুঠোফোনে আবদ্ধ করেন।
শাস্তি দেওয়ার সময় শারিয়া কর্মকর্তা (যিনি বেত্রাঘাত করেন) মুখে মুখোশ পরে নেন এবং অপরাধীদের ব্যথায় জর্জরিত করেন। এ সময় এক নারীকে বিবাহোত্তর শারীরিক সম্পর্ককের অপরাধে বেত্রাঘাত করা হয়।
এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে এমন ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। এটা খুবই হতবুদ্ধিকর।’
গত ডিসেম্বর মাসে দুজন পুরুষকে সমকামী যৌনতার অপরাধে আটক করা হয় এবং শতবার বেত্রাঘাত করা হয়।
এদিকে মানবিক অধিকার দলগুলো এই শাস্তির রুখতে আওয়াজ তুলেছে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আচে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে এই আইন খুব জনপ্রিয় হওয়ায় তা নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না।
জুয়া, মদ খাওয়া এবং সমকামী যৌনতার মত অপরাধের জন্যও সুমাত্রা দ্বীপে বেত্রাঘাত (ফ্ল্যাগিং) খুব সাধারণ একটি আইন। এটি বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের একটি মাত্র প্রদেশ যেখানে ইসলামী আইন প্রয়োগ করা হয়।