নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০ বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডান। হামলার ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৭ জন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
এই হামলাকে নিউজিল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে অন্ধকার দিন বলে উল্লেখ করে নিউজিল্যাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পর্যায়ে অন্য কোনও কিছুকে সন্দেহ করার মতো কিছু নেই। আর এখন আমরা কোনও কিছু ধারণা করতে চাই না।
শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে হামলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি হয়। এর মধ্যে দেশটির সাউথ আইল্যান্ডে আল নূর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে অন্তত ৫০টি গুলি করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় আল নুর মসজিদেই ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আর লিনউডের মসজিদটিতে ১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানান নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দ্রা আরডান। এছাড়াও মারাত্মক আহত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ৩০০ জনের মতো মুসল্লি মসজিদটিতে যান। বেলা দেড়টার দিকে একজন বন্দুকধারী মসজিদটিতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেক মুসল্লি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অনেকে আহত হয়ে দ্বিগ্নিদিক ছুটতে থাকেন। হামলায় ঘটনাস্থলেই কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানান তারা। হামলার পর ওই বন্দুকধারী জানালার কাঁচ ভেঙে হামলাকারী পালিয়ে যায়। বন্দুকধারীর হাতে অটোমেটিক রাইফেল ছিল।
মসজিদটি ছাড়াও এছাড়া আশপাশের বেশ কয়েকটি স্কুলেও গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। এসব ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন তা বলতে পারেননি কেউ।
মসজিদের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন বন্দুকধারী গুলিভর্তি বন্দুক নিয়ে মসজিদের মূল গেট দিয়ে মসজিদে ঢুকে সেজদারত মুসল্লিদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ছেন। শেষ হলে আবার লোড করে গুলি ছুড়ছেন। গুলিতে সেজদারত অবস্থাতেই অনেকে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। আবার যারা বুঝতে পেরেছেন তারা প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেন।
হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মসজিদে বেশ কয়েকজনকে লুটিয়ে পড়তে দেখা একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গুলিতে অনেকে হতাহত হয়েছেন। প্রাণ বাঁচাতে তিনি দৌড়ে পালিয়ে এসেছেন।
এদিকে হামলার কিছু সময় পর অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়র মসজিদটিতে গেলে স্থানীয় একজন তাদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেন। বলেন, এখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা তখন দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত যান। তারা এখন টিম হোটেলে অবস্থান করছেন।