সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শামীমা বেগমের নবজাতক ছেলেটি মারা গেছে। আজ শনিবার স্থানীয় এলাকার কুর্দি রেড ক্রিসেন্টের এক চিকিৎসাকর্মী বিবিসিকে শিশুটি মারা যাওয়ার খবর জানান।
যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে যাওয়া শামীমার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ বয়সী শিশুটি মারা গেছে বলে ‘জোরালো তবে অনিশ্চিত’ খবর পেয়েছেন তিনি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারিতে শামীমা ছেলে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা জানান। সিরিয়ায় এর আগেও দুটি সন্তানের মা হয়েছিলেন শামীমা। তার ওই দুই সন্তানও মারা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রথমে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এ খবর অস্বীকার করলেও পরে তারা শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে শামীমা সিরিয়ার যে আশ্রয়শিবিরে থাকেন সেখানকার আশপাশের ওই কুর্দি রেড ক্রিসেন্ট কর্মীর জানান, শিশুটি শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে তার মা একজন চিকিৎসককে দেখান। পরে দুপুরের দিকেই শিশুটি মারা যায়।
এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘খবরটি সত্য কি না তা আমি একেবারেই জানি না। তবে আমি বলব, এটা দুঃখজনক। এমন অনেক নিষ্পাপ শিশুই হয়তো আছে যারা যুদ্ধক্ষেত্রে জন্ম নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফেলা ওইসব শিশুর জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করা ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই। কারো জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া যে কতটা বিপজ্জনক এ ঘটনাই তার সাক্ষী।’
২০১৫ সালে লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্রী শামীমা ও তার সহপাঠী আরেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি খাদিজা সুলতানাসহ তিন তরুণী আইএসে যোগ দিতে পালিয়ে সিরিয়া যান। সেখানকার আইএস ঘাঁটিতে গিয়ে ধর্মান্তরিত এক ডাচকে বিয়ে করেন শামীমা।