ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় স্বাধীনতাকামীদের হামলার ১২ পর বদলা নেয় ভারত। পাকিস্তান ভূখণ্ডে ভারতীয় যুদ্ধবিমান হামলা চালায় তারা। ওই হামলাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। চিরশত্রু এই দুই দেশের মধ্যে প্রায় যুদ্ধাবস্থা।
পাক আকাশসীমার মধ্যে ঢুকে বোমা নিক্ষেপ করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এতে দাবি করা হয়, প্রায় এক হাজার কেজি ওজনের বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ‘কথিত’ ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। পাক কর্তৃপক্ষের দাবি- তাদের হামলা মাত্র একজন আহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মিডিয়াও ৩০০ জন নিহতের প্রমাণ পায়নি। কিন্তু এই নিয়ে অতি রঞ্জিত খবর প্রকাশ করে ভারতীয় মিডিয়া। ফলে হতাহত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গোটা ভারত জুড়ে। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতারা বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন।
অবশেষে এমন দাবি থেকে সরে এসেছে নয়াদিল্লি। আর বিজেপি সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসএস অহলুওয়ালিয়া এ ধরনের দাবির জন্য দেশটির গণমাধ্যমকেই দায়ী করেছেন।
শনিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এসএস অহলুওয়ালিয়া। এ ব্যাপারে এসএস অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা সরকারি মুখপাত্রের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে এগুলো ছড়ানো হয়েছে।’
সেখানে তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক, দুই ধরনের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টই পড়েছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যও শুনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানে বোমাবর্ষণের পর রাজস্থানের চুরুতে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে একবারের জন্যও কি ৩০০ জঙ্গি মারা গেছে বলেছিলেন তিনি? বিজেপির কোন মুখপাত্রের পক্ষ থেকে কি জঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে? অমিত শাহ কি তেমন কিছু বলেছেন?’
অহলুওয়ালিয়ার দাবি- ‘সব পাহারা টপকে শত্রুর বাড়ির পাশে বোমা ফেলেছি ঠিকই। তবে এতে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হোক তা চাইনি। শুধু কড়া বার্তা দেয়াই উদ্দেশ্য ছিল আমাদের যেন তারা বুঝতে পারে যে, শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করে দেয়ার ক্ষমতা আছে আমাদের।’