নাগরিকত্ব দিয়ে রোহিঙ্গা নিতে চান ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট

মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে আশ্রয় দিতে আবারও প্রস্তাব দিয়েছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে।

মঙ্গলবার ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে দেয়া এক ভাষণে দুতার্তে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর ‘গণহত্যা’ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন: ‘সেখানকার লোকদের প্রতি আমি সমব্যথী। আমি শরণার্থীদের গ্রহণে (আশ্রয় দিতে) আগ্রহী। ইউরোপেরও উচিত রোহিঙ্গাদের ভাগ করে নেওয়া।

দুতার্তে আরও বলেন মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চির উচিত জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে বলে তার দেশকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ইউরোপীয় দেশগুলো। কিন্তু তারপরও তিনি রোহিঙ্গাদের সামান্যতম সাহায্য করেননি।

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হ্যারি বলেন: গত বছর ফিলিপিন্সের বাতানে শরণার্থীদের গ্রহণ করার ব্যবস্থা করা যেত। তবে শরণার্থীদের জন্য সবসময় ফিলিপিন্স সরকারের দরজা খোলা।

১৯৭৫ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ফিলিপিন্স সরকার ভিয়েতনামের কয়েক হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরু করলে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে থাকে লাখো রোহিঙ্গা।

বিভিন্ন সংস্থার তথ্য মতে, মিয়ানমারের বাহিনী রাখাইনে যে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ চালিয়েছে, তাতে প্রাণ গেছে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পালিয়ে এসেছে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা।

Scroll to Top