সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়ায় ভারতের পর এবার ইরানও পাকিস্তানকে মারাত্মক খেসারত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
গত বুধবার সীমান্তের কাছে সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের কাছে সুন্নি বিদ্রোহী জইশ আল আদলের সন্ত্রাসী হামলায় ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ২৭ সেনা নিহত হন।
এ হামলার ঘটনায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জাফর চিরশত্রু সৌদি আরব ও আমিরাতের দিকে আঙুল তুলেছেন। দেশ দুটি পাল্টা অভিযানের শিকার হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, বিপ্লববিরোধী এ গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর অনীহা কেন? কোনো সন্দেহ নেই, পাকিস্তানকে এর চড়ামূল্য দিতে হবে।
নিহত জওয়ানদের দাফনের সময় উপস্থিত লোকজনের সামনে জাফরি বলেন, গত এক বছরে ছয় থেকে সাতটি সন্ত্রাসী হামলা ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এ হামলাটি চালাতে সক্ষম হয়েছে।
সুন্নি নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের জন্য আরো নাগরিক অধিকার ও উন্নত জীবনের দাবিতে বিদ্রোহ করেছে জইশ আল আদল।
বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান বলেন, সৌদি ও আমিরাতের জানা উচিত, ইরানের ধৈর্য শেষ হয়ে গেছে। ইসলামবিরোধী এসব অপরাধীর প্রতি তাদের গোপনীয় সমর্থন আর টেকসই হতে দিচ্ছি না। আমাদের শহীদদের রক্তের বদলা নেব আমরা।
ইরানের শিয়া মুসলিম কর্তৃপক্ষ বলছে, পাকিস্তানের নিরাপদ স্বর্গ থেকে এসে সুন্নি বিদ্রোহীরা হামলা চালাচ্ছে। এ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানকে বলা হয়েছে।
তবে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়ার কথা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এই জঙ্গি হামলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধাসামিরক বাহিনীর ৪৪ সেনা নিহত হয়। তার জেরে এখন কার্যত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে ভারত। এরই মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলো ইরান।