ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সাংসদদের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিতর্ক শেষে প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর ওপর ভোট দেবেন তারা। খবর বিবিসির।
ব্রেক্সিট নিয়ে পরবর্তীতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে প্রস্তাবিত বেশ কয়েকটি সংশোধনীর ওপর বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে পার্লামেন্টে।
বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক লরা কুনেসবার্গ বলেছেন, বিতর্ক শেষে ভোটদানে আরও একটি পরাজয়ের শিকার হতে পারেন মে।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকজন টরি সাংসদ সরকারকে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে মে জানিয়েছেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটের আয়োজন করতে চান। কিন্তু বিরোধীদল লেবার পার্টি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, তিনি এখনো নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করছেন। সাংসদদের তার চুক্তি মেনে নিতে ব্ল্যাকমেইল করছেন।
উল্লেখ্য, মে তার মন্ত্রীদের প্রতি এমন একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিতে আহ্বান জানিয়েছেন, যেটির মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয় যে, ব্রেক্সিট নিয়ে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ার প্রতি তারা যেন তাদের সমর্থন জানায়।
কিন্তু মে’র আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন তার অনেক অনুসারী। বেশ কয়েকজন সাংসদ ব্রেক্সিট নিয়ে চলমান প্রক্রিয়ার একটি বিকল্প সংশোধনী পরিকল্পনার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে লেবার পার্টি থেকেও একটি সংশোধনী পরিকল্পনার প্রস্তাব এসেছে। ওই প্রস্তাব অনুসারে, এই মাসের মধ্যে হাউজ অব কমন্সে পুনরায় ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটের আয়োজন করতে বাধ্য থাকবে সরকার।
অপরদিকে এসএনপি দল থেকে প্রস্তাবিত এক সংশোধনী অনুসারে, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া স্থগিত করতে সরকারকে নতুন একটি আইন পাসের আহ্বান জানানো হয়েছে।
হাউজ অব কমন্স স্পিকার জন বেক্রো এখনো জানাননি এসব সংশোধনীগুলোর মধ্যে কোনগুলোর ওপর বিতর্ক ও ভোটদান অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ইউরোপিয়ান রিসার্চ গ্রুপের প্রভাবশালী টরি ব্রেক্সিট সমর্থনকারীরা মে’র আহ্বানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেননা, গত মাসে বেশিরভাগ টরি সাংসদ একটি বিকল্প পরিকল্পনা অনুসরণের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। ওই পরিকল্পনা অনুসারে, ব্রিটিশ সরকারকে বর্তমান চুক্তি থেকে ‘ব্যাকস্টপ পরিকল্পনা’ বাদ দিয়ে ভিন্ন একটি পরিকল্পনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছিল।
তখন মে বলেছিলেন, তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে পুনরায় আলোচনায় বসবেন ও চুক্তিতে পরিবর্তন আনবেন। যদিও ইইউ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে চুক্তিতে কোন পরিবর্তন আনবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু মে দাবি করেছিলেন, তিনি আলোচনা করে চুক্তি পরিবর্তন করতে পারবেন। এখনো পর্যন্ত সে বিষয়ে কোং অগ্রগতি করতে পারেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমান চুক্তি অনুসারে আগামী ২৯ মার্চ থেকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া কার্যকর হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিদায় নেবে যুক্তরাজ্য।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিএস