ডেমোক্রেট রিপাবলিক অব কঙ্গোতে ৫০টিরও বেশি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থা। কঙ্গোর পশ্চিমাঞ্চলে ওই গণকবরগুলো পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় গত মাসে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের (ইউএনজেএইচআরও) পরিচালক আবদুল আজিজ থিওয়ে শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ৫০টিরও বেশি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। আমরা যে কবরগুলো চিহ্নিত করেছি এগুলোর মধ্যে কিছু সাধারণ আবার কিছু স্বতন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, আমরা কঙ্গোর পশ্চিমাঞ্চলীয় মেইনদোম্বি প্রদেশের ইয়াম্বি শহর থেকে এসব গণকবর উন্মোচন করেছি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি যৌথ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে কাজ করছে জাতিসংঘের ওই মানবাধিকার সংস্থাটি। আবদুল আজিজ বলেন, গণকবরগুলো দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, মরদেহের সংখ্যা অনেক। এখানে কয়েকশ মানুষের মরদেহ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কঙ্গোর পশ্চিমাঞ্চলের সেনা প্রধান জেনারেল ফল সিকাবেয়ে এএফপিকে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেনা সদস্য এবং পুলিশ সদস্যদের হত্যা করে তাদের অস্ত্র নিয়ে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করলেও কারা এসব হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।
তবে চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, ওই অঞ্চলে আন্ত:সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮৯০ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বেচেলেট চলতি মাসের ১৬ তারিখে এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জাতিসংঘের কাছে তথ্য আছে যে, ইয়াম্বির চারটি গ্রামে ডিসেম্বরের ১৬ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে এসব লোকজনকে হত্যা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সে সময় ৪৬৫টি বাড়ি-ঘর এবং ভবন আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দু\’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি মার্কেট এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একটি কার্যালয়ও রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে আশেপাশের অন্যান্য গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে।