মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে অবস্থিত দ্য লুইসভিল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের নাম বদলে ‘লুইসভিল মোহাম্মদ আলী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’ করা হচ্ছে। সূত্র ইলমফিড.কম।
বিবিসি কর্তৃক শতাব্দীর সেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনোনীত ক্রীড়াবিদ, মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আলীর প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য তার নামানুসারে এয়াপোর্টের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ আলী সেন্টারের ভেরিফায়েড টুইটার পেইজ থেকে এই সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিখ্যাত ও জনপ্রিয় মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা লুইসভিলে। যে কারণে এই শহরের এয়ারপোর্টের নামের সঙ্গে তার নামটি দারুণ মানানসই।
ক্রীড়াক্ষেত্রে ও নিজের জন্মস্থানে মোহাম্মদ আলীর অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন ওই শহরের মেয়র গ্রেগ ফিশার।
ইসলাম ধর্মালম্বী মোহাম্মদ আলী নিজ ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে গর্বের সঙ্গে কথা বলতেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘এখন আমি যেটাই করি না কেন, আল্লাহতায়ালাকে খুশিকে করার জন্য করি।’
১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইসভিলাতে মোহাম্মদ আলী জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তিনি আমেরিকান মুসলিমদের আদর্শ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
বিদ্যুতের মতো গতি, অবিশ্বাস্য ফুটওয়ার্ক এবং অকল্পনীয় শারীরিক নমনীয়তায় কিংবদন্তি এই বক্সার মোট ৬১টি লড়াইয়ের মধ্যে ৫৬টিতেই জিতেছেন। ৬১টি লড়াইয়ের মধ্যে ৩৭টি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে নকআউট করে জিতেছেন। ক্রীড়া জীবনের শুরুর দিকেই কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী রিংয়ের ভেতরে ও বাইরে অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আলী ১৯৭৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখন বাংলাদেশ সরকার তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করে। পল্টনের বক্সিং স্টেডিয়ামের নাম তার নামে রাখা হয়।
১৯৮০ সালে পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হন। ৩২ বছর এ রোগে ভোগার পর ২০১৬ সালের ৩ জুন ৭৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
হারিয়ে যেতে যেতে আবার ফিরে আসা, বাধা সরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ, বুকভরা সাহস, প্রবল আত্মসম্মানবোধ আর মানুষকে ভালোবাসা- এসব কিছুর মিশেলে একজন পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। তার প্রতি লুইসভিল শহর কর্তৃপক্ষের এমন সম্মান সত্যিই প্রশংসনীয়।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস