মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন— এই দাবির পরে এখন সযত্নে নিজেদের ঘুঁটি সাজাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন তেমন খবরই দিয়েছে। সোল সূত্রের খবর, কিমের দেশ সরাসরি ঘোষণা করেছে যে তারা মার্কিন যুদ্ধবিমান দেখলেই গুলি করে নামাবে।
উত্তর কোরিয়ায় হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের পর থেকেই পারদ উত্তরোত্তর চড়ছে। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগ্যুদ্ধ চলছে পাল্লা দিয়ে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে কিমকে খোলাখুলি ‘উড়িয়ে দেব’ বলতেও কসুর করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী রি ইয়ং হো টুইটারে ট্রাম্পের মন্তব্য থেকে জানতে পারেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন ‘‘এ ভাবে ভয়ের রাজনীতি চালিয়ে গেলে রি এবং কিমকে আর বেশি দিন দেখা যাবে না।’’ উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রীর মতে, ট্রাম্পের এই কথা যুদ্ধ ঘোষণার সমান। তাই পাল্টা পদক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের। নিউ ইয়র্কের সাধারণ সভার বৈঠকে এসে সোমবার রি বলেছেন, ‘‘বিশ্বের মনে রাখা উচিত, আমেরিকাই প্রথম আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।’’ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা স্যান্ডার্সের দাবি, এই বক্তব্য ভিত্তিহীন, আমেরিকা কোনও যুদ্ধ ঘোষণা করেনি।
তবে রি-র বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসনের প্রতিনিধি লি চিওল-উও বলেছেন, তিনি গুপ্তচর সংস্থা মারফত খবর পেয়েছেন যে কিমের দেশের পূর্ব উপকূলে এগোচ্ছে যুদ্ধবিমান। গত সপ্তাহে কোরীয় উপদ্বীপের কাছাকাছি কিছু মার্কিন যুদ্ধবিমান চলে আসায় কিম তৎপর হয়ে উঠেছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/সাদ