উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ট্রাম্পের!

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো দুইজনই ‘আর বেশি দিন টিকবে না’ বলে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত রোববার দেওয়া ট্রাম্পের এই হমকিকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে দেখছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সেই সঙ্গে রি হুমকি দিয়েছেন, তাদের দেশের আশেপাশে মার্কিন বোমারু বিমান দেখা গেলে তা গুলিকরে ভূপাতিত করা হবে। কারণ আইনগতভাবে সেই অধিকার উত্তর কোরিয়ার রয়েছে। সেই বিমান যদি আকাশ সীমায় নাও আসে তবু তা ভূপাতিত করা হবে।তবে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার এই হুমকি ও অভিযোগকে অমূলক ও অবান্তর হিসেবে উল্লেখ করেছে বলে বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পরে নিউইয়র্ক ত্যাগ করা সময় রি সাংবাদিকদের বলেন, সারা বিশ্বের এটা মনে রাখা উচিত যে ট্রাম্প সরকারই প্রথম আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধ ঘোষণার পরে আমাদেরও যেকোনো ধরনের পাল্টা হামলার অধিকার আছে। তাদের বোমারু বিমানকেও আমরা গুলি করে ভূপাতিত করা অধিকার রাখি। এদিকে জাতিসংঘ বলছে, ট্রাম্প-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে চলমান এ কথার লড়াইয়ে কোরীয় উপদ্বীপ পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে মোড় নিচ্ছে।
উল্লেখ, গত শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘শয়তান প্রেসিডেন্ট’ ডোনাল্ড ট্রাম্প পিয়ংইয়ংয়ের নেতাকে ‘আত্মঘাতী মিশনের থাকা রকেট মানব’বলার পর অনিবার্যভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখণ্ড তাদের রকেটের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হবে।

জবাবে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনেছি। তিনি ‘লিটল রকেটম্যান’ -এর চিন্তাভাবনাই প্রতিধ্বনিত করতে চেয়ে থাকলে আর বেশিদিন টিকতে হবে না উত্তর কোরিয়াকে। ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের পরে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগ তুললেন।

শনিবার সাধারণ পরিষদে রি-র ভাষণের কয়েক ঘন্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর বি-১বি ল্যান্সার বোমারু বিমান ও যুদ্ধবিমান উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের আন্তর্জাতিক আকাশসীমা দিয়ে উড়ে যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে যে অনেক সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে, তা দেখানোর জন্যই এই শক্তি প্রদর্শন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, উভয় পক্ষের মধ্যে বিদ্বেষমূলক মনোভাব যেভাবে বাড়ছে তাতে একজনের ভুল পদক্ষেপ গ্রহণের ঝুঁকির পাশপাশি অন্যজন বড় ধরনের আনাকাঙ্খিত পরিণতির মুখোমুখি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়:১১২৮  ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর    ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসপি