সাবেক ব্রিটিশ কলোনি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে আঘাত হেনেছে সর্বোচ্চ ৫ মাত্রার হারিকেন মারিয়া। তবে সোমবার আঘাত হানা এ হারিকেনে এখন পর্যন্ত হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মারিয়ার প্রভাবে ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার আরো কিছু এলাকায় আঘাত হানতে পারে মারিয়া। এ জন্য ভার্জিন দ্বীপে সতর্কতা জারি করেছে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র।
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী রুজভেল্ট স্ক্রিট তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বলেছেন, মারিয়ার আঘাতে তার বাড়ির ছাদ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া তার বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। তবে পরে আরেক পোস্টে তিনি বলেছেন, তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
চলতি মাসে আরেক হারিকেন ইরমার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ওই অঞ্চল। ইরমার মতোই মারিয়া অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মারিয়ার প্রভাবে বন্ধ রয়েছে ডোমিনিকার বিমান ও সমুদ্রবন্দর। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী দ্বীপ মার্টিনিকে সর্বোচ্চ সকর্ততা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্স আইল্যান্ড, গুয়াদেলপ দ্বীপের জনগণকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর ভার্জিন দ্বীপে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, এসব দ্বীপের জনগণ যখন ইরমার ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন তখন আঘান হানছে মারিয়া। ইরমার আঘাতে অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার সোমবার প্রথমে মারিয়াকে দুই ক্যাটাগরির হারিকেন হিসেবে আখ্যায়িত করে। কিন্তু এরপরই চার এবং পরে সর্বোচ্চ পাঁচ ক্যাটাগরির ঝড় হিসেবে সতর্কতা জারি করে।
আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, মারিয়ার প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে, যা জীবনের জন্য হুমকি।
ডোমিনিকার রাজধানী রোসিউ থেকে কার্টিস ম্যাথিউ নামের এক সাংবাদিক বিবিসিকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ এবং দ্রুত তা ভয়াবহ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম