রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভারত থেকে প্রত্যার্পণের হুমকি আগেই দিয়েছিল মোদী সরকার। এবার কেন সেই শরণার্থীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেশটির সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
১৫ পাতার হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার ঘুরিয়ে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ ও বাম শাসিত ত্রিপুরাকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে দায়ী করল।
কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা হলফনামায় যা বলা হয়েছে:
• মায়ানমার, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় সংগঠিত দালালচক্র কাজ করছে এই রোহিঙ্গাদের এদেশে আনার জন্য।
• ভারতের কোথাও বসবাস করার অধিকার শুধু ভারতীয় নাগরিকদের জন্যই রয়েছে।
• কোনও অবৈধ অভিবাসী আদালতে এসে মৌলিক অধিকার প্রয়োগের দাবি করতে পারে না।
• ভারতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপস্থিতি দেশের সম্পদের উপর চাপ বাড়াবে এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করবে।
• গোয়েন্দা সংস্থাগুলির থেকে খবর এসেছে, কিছু রোহিঙ্গা মুসলমানের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সম্পর্ক রয়েছে।
• ২০১২ থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের এ দেশে আসার ঢল শুরু হয়েছে। বর্তমানে এদেশে প্রবিষ্ট রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৪০,০০০।
• গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী কিছু রোহিঙ্গা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানের কিছু জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে হিংসা ছড়াতে চাইছে।
• রোহিঙ্গাদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীরা দিল্লি, হায়দরাবাদ, মেওয়ার ও জম্মুতে কার্যকর রয়েছে ও তারা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।
• রোহিঙ্গারা অবৈধ ভাবে ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড সংগ্রহ করেছে। কেউ কেউ হাওয়ালার মাধ্যমে অবৈধ কাজের জন্য টাকা তুলছে।
ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে দু’জন— মহম্মদ সেলিমুল্লাহ ও মহম্মদ শাকির— সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, তাঁরা রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী। হাই কমিশনারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। তাঁদের যেন ভারত থেকে বের করে না দেওয়া হয়।
এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ২ অক্টোবর ঠিক করা হয়েছে।
সূত্র- এবেলা
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম