কাতারের সঙ্গে সৌদি জোটের ‘যুদ্ধ’ শেষ

অবশেষে কাতারের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে সৌদি জোট। কুয়েতের আমির এ সম্পর্কে বলেছেন, আরব বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের যুদ্ধের যে হুমকি তৈরি হয়েছিল তার অবসান ঘটেছে। প্রায় তিন মাস ধরে কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করেছিল আরব বিশ্বের চার দেশ।

কাতার সংকটে মধ্যস্ততাকারী দেশ হিসেবে কাজ করেছে কুয়েত। দেশটির আমির শেইখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবাহ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কাতারের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শেইখ সাবাহ বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে আমরা যে কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করেছি। এদিকে, এক যৌথ বিবৃতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ বন্ধে কুয়েতের আমিরের এমন বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করেছে অবরোধ আরোপ করা দেশগুলো।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি এবং কোনো পরিস্থিতিতে নেয়া হবেও না।
গত জুনের ৫ তারিখে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে আরব বিশ্বের চার দেশ সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিসর এবং বাহরাইন। কাতারের সঙ্গে আকাশসীমা এবং জলসীমা বন্ধ করে দেয় দেশগুলো। বিশ্বের বৃহত্তম তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের দেশ কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে।

ইরানের ওপর সমর্থন এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায়তার অভিযোগ এনে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করেছিল আরব বিশ্বের দেশগুলো। বৃহস্পতিবার ওই একই কথার পুণরাবৃত্তি করেছে দেশগুলো। তাদের দাবি কাতার এখনও সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলাচ্ছে।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, কিছু দেশ এখনও বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংঠনকে অর্থায়ন করছে। এক্ষেত্রে একাধিক দেশ দায়ী। কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদে বিশাল অর্থায়ন করছে। কাতারের আমিরের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন ট্রাম্প। কাতার সংকট সমাধানে একমাত্র উপায় হচ্ছে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও অর্থ সহায়তা বন্ধ করা। যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পের এমন দৃঢ় বক্তব্যের প্রশংসা করা হয়েছে।

শেইখ সাবাহ বলেছেন, তিনি কাতারের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। সেখানে কাতার স্বেচ্ছায় প্রতিবেশি দেশগুলো যে দাবি জানিয়েছিল সেই ১৩ দাবি নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা পোষণ করেছে। এর আগে কাতারের ওপর ১৩টি দাবি চাপিয়ে দিয়ে আরব বিশ্বের দেশগুলো বলেছিল, কাতার এসব দাবি মেনে নিলেই তাদের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়া হবে।

শেইখ সাবাহ বলেন, ‘আমরা জানি ১৩টি দাবিই মেনে নেয়া হবে না। বিশেষ করে কাতারের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানতে পারে এমন কিছু মেনে নেবে না কাতার। তবে এর মধ্যে প্রধান কিছু দাবি মেনেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ০৮ সেপ্টেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস

Scroll to Top