অশান্তির পেছনে বিশেষ দেশকে দুষছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য বাইরের একটি দেশ ষড়যন্ত্র করছে এবং সেই উদ্দেশ্যে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। বুধবার বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়, তবে সেই দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদও থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, \’বাংলাভাষী\’ আরসা জঙ্গিরা এমন সময়ে রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে যখন এই সেপ্টেম্বরই মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন বসতে যাচ্ছে। সেকারণেই বিদেশের মাটিতে বসে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর এই ছক কষা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সেই দেশটি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে থাকে সেখানে কর্মরত মিয়ানমারের কিছু লোককে এই ষড়যন্ত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর ওই বিবৃতিটির একটি প্রতিলিপি বিবিসি’র বার্মিজ শাখার কাছে রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। বিবৃতির ভাষ্য অনুযায়ী, ষড়যন্ত্রকারী সেই দেশ থেকে মিয়ানমারের কিছু লোককে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে মাস চারেক আগে তৃতীয় আরেকটি দেশে পাঠানো হয়েছিল বলেও তারা জানতে পেরেছে।

সেই প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা ঘরে বানানো বোমা বিস্ফোরক আর মাইন তৈরিতে দক্ষ হয়ে ফিরে এসেছে। এখন তারা মিয়ানমারে জঙ্গি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও বিবৃতিতে সেনাবাহিনী দাবি করছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের বুথিডং মংটও অঞ্চলে যা ঘটছে, সেই ব্যাপারে সারা দুনিয়ার দৃষ্টি ফেরাতেই এই জঙ্গি হামলাগুলোর ছক কষা হচ্ছে। আর এই সন্ত্রাসবাদী হামলাগুলো রাখাইন প্রদেশে নয়, বরং নেপিদও, ইয়াঙ্গন, মান্দালে কিংবা মওলামাইয়িনের মতো বড় বড় শহরে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনী জানতে পেরেছে।

সেকারণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে পুরো দেশের সব গ্রাম ও শহরের বাসিন্দাদের \’বাংলাভাষী আরসা সন্ত্রাসবাদী\’দের সন্দেহজনক গতিবিধির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে।

সেনাবাহিনী বলছে, নাগরিকদের যদি এরকম কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ চোখে পড়ে কিংবা তারা এই সংক্রান্ত খবর পান যে কোথাও বেআইনিভাবে বিস্ফোরক দ্রব্য, বিশেষ করে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত করছে। তবে অবিলম্বে কাছের সেনা ইউনিট, পুলিশ থানা কিংবা সেনা ছাউনিতে যেন খবর দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ০৭ সেপ্টেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি

Scroll to Top