রাজপ্রাসাদ থেকে কারাগার। ‘বাবাজির’ থেকে ‘কয়েদি নম্বর-১৯৯৭’। ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিংয়ের আরাম-আয়েশের জীবন শেষ হয়েছে তাও সপ্তাহ খানেক হলো। ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের সাজা খাটতে রোহতকের সুনারিয়া কারাগারে থাকা ‘বাবাজির’ জীবনে এখন ঘোর অন্ধকারে।
৭০০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা নিজের সিরসার আস্তার আয়েশি জীবন কাটানো রাম রহিমের জীবনে বিত্ত-বৈভবের লেশমাত্র এখন নেই এখন। কারাগারে মিলেছে ৮ ফুট বাই ৮ ফুটের একটি কক্ষ। তাতেই কাটছে বন্দিজীবন।
এখানেই শেষ নয়। নিজ আস্তায় ভক্ত, ভৃত্য ও সেবাদাসী পরিবেষ্টিত রাম রহিমের এখন কারাগারে বসে বসে খাওয়ারও উপায় নেই। সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ‘বাবাজিকে’ কারাগারে কাজ করেই খেতে হবে।
কারাগারে এরইমধ্যে কাজও মিলেছে রাম রহিমের। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মালির কাজ দিয়েছে। এ কাজের জন্য পারিশ্রমিকও পাবেন ‘বাবাজি’; দৈনিক ৪০ রুপি করে।
দুই নারীকে ধর্ষণের দায়ে দুই মামলায় রাম রহিম সিংকে গত সোমবার ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) বিশেষ আদালত। রায় ঘোষাণার পরপরই তাকে করে হরিয়ানার রোহতক কারাগারে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই কারাবন্দি জীবন কাটছে বিতর্কিত এই ধর্মগুরুর।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে