রোবটকে আমরা মানুষের সাহায্যকারী বা কাজের চাপ কমানোর যন্ত্র হিসেবেই মনে করি। কিন্তু শুধু সেই কাজই নয়, বিশ্বের নানা দেশে তৈরি হচ্ছে এমন রোবট, যার কাজ হবে শুধু খুন করা। বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চায় এসব রোবট। আর এ ধরনের রোবট নিষিদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে একজোট হয়েছেন বিশ্বের নানা দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিবিদরা।
মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক সম্প্রতি খুনি রোবট নিষিদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘের দ্বারস্থ হয়েছেন। এক্ষেত্রে তাদের দাবি সারা বিশ্বেই এ ধরনের খুনি যন্ত্র বন্ধ করা হোক। আর তাদের দাবি এ নিষেধাজ্ঞায় থাকতে হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা করতে সক্ষম ড্রোন, ট্যাংক ও মেশিনগান নিষিদ্ধ করা।
এর কারণ, ক্রমে সারা বিশ্বের আতঙ্ক হয়ে দাঁড়াচ্ছে কিলার রোবট, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষ খুন করতে পারবে। খুনে রোবট বলতে এমন রোবটের কথা বলা হয় যার সঙ্গে মারণাস্ত্র জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যে রোবট যোদ্ধা হিসেবে ব্যবহৃত হবে তারাই কিলার রোবট। সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হবে এসব রোবট।
ইতিমধ্যে এসব রোবট রয়েছে বিভিন্ন সেনাবাহিনীর হাতে। শুধু তা মানুষের অবয়বে দেহ কাঠামো পায়নি।
প্রযুক্তিবিদদের আশঙ্কা, টারমিনেটরের মতো খুনে রোবট বানানো হলে ভবিষ্যতে কি হবে তা এখন কল্পনাও করা যাচ্ছে না। এ কারণে বিশ্বের বড় বড় এআই গবেষক এবং প্রযুক্তিবিদরা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সাবধান করেছেন, যদি সবাই এআই অস্ত্র নিয়ে কাজ করেন, তবে গ্লোবালি যার যার সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনী গড়ে উঠবে।
শুধু প্রযুক্তিবিদরাই নন, কিলার রোবট তৈরি বন্ধে ৫০টিরও বেশি বেসরকারী সংস্থা ক্যাম্পেইন করেছে। এর মাধ্যমে কেমিক্যাল অস্ত্রকে বিদায় জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেছে।
সম্প্রতি ইলন মাস্কসহ বিশ্বের ১১৫ জন শীর্ষ বিশেষজ্ঞ এক যৌথ চিঠিতে খুনি রোবটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, একবার এ খুনি রোবটের মারাত্মক চর্চা শুরু হয়ে গেলে তা বন্ধ করা কঠিন হবে। তাদের চিঠিটি সোমবার মেলবোর্নের একটি যৌথ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ২১ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ