ভারতের বিকর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিম ধর্ষণ মামলার অভিযোগে জেলে আছেন। জেলে নাকি তিনি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন এমন অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। আর তা হবে না কেন? প্রভাবশালী বলে কথা।
এদিকে, বাবা রাম রহিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের দিকে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন তার দত্তক কন্যা হানিপ্রীতের স্বামী বিশ্বাস গুপ্তা। তার অভিযোগ ছিল, পালক কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গে রাম রহিমের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তবে নিজের পাপ ঢাকতে হানিপ্রীতকে তিনি দত্তক নিয়েছিলেন।
গুপ্তা বিশ্বাসের দাবি, ২০১১ সালে একবার তিনি আশ্রমে রাম রহিমের গুহায় গিয়েছিলেন। ঘরের দরজা খোলা ছিল। উঁকি মেরে দেখেই তিনি স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন রাম রহিম ও তার স্ত্রী হানিপ্রীত।
বিশ্বাস গুপ্তা জানান, এরপর তিনি রাম রহিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন। তবে পরে আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করে নেন।
জানা যায়, বিহার রাজ্যের ডেরা সাচ্চা সওদার আশ্রমের গোপন ডেরায় ‘রাসলীলা’ চালাতেন এ ধর্মগুরু। অঢেল অর্থ-বিত্ত ও নামি দামি গাড়ি, সিনেমার হিরো, বিদেশ সফর আমোদ-প্রমোদের কোন ঘাটতি ছিল না তার জীবনে।
ভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, রোহতকের সুনারিয়ার জেলে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত গুরু রাম রহিমকে রাখা হয়েছে। তার কয়েদি নম্বর ১৯৯৭। তবে জেলখানায় গিয়েও নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন রাম রহিম। কয়েদখানাতেও এক নারী রাম রহিমের সঙ্গে রয়েছেন। যদিও সরকারি সূত্রগুলো এমন দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলছে, সাধারণ কয়েদিদের তুলনায় কোনো বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে না রাম রহিমকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ২৮ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসপি