গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে ইসরাইল পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই। এছাড়া, আফগানিস্তানে তালেবান শাসনকে বৈধতা না দিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের নারী শিক্ষা: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে মালালাসহ অংশ নেন বিভিন্ন মুসলিম দেশের শিক্ষামন্ত্রী।
২০১২ সালে পাকিস্তানের এক স্কুলে পড়ার সময় স্থানীয় তালেবানদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে দেশ ছাড়েন ১৫ বছর বয়সি মালালা। তবে সুস্থ হয়ে ফিরেই নারী শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। এর মধ্যে হাতেগোনা দু’একবার পাকিস্তান সফরে যান মালালা। এবার নিজ দেশে নারী শিক্ষাবিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দেন এ নোবেলবিজয়ী।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য রাখেন মালালা। ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে বলে ক্ষোভ জানান তিনি।
উদ্বেগ প্রকাশ করে মালালা বলেন, ইসরাইল গাজার ৯০ শতাংশের বেশি স্কুল ধ্বংস করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে স্কুলভবনে আশ্রয় নেয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে চালানো হামলার নিন্দা জানান তিনি। ইসরাইলের আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
এদিকে, আফগানিস্তানের তালেবানদের বৈধতা না দিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান মালালা ইউসুফজাই। বলেন, তালেবানের শাসনামলে নারী শিক্ষার অগ্রগতির স্বপ্ন দেখা বৃথা। তালেবান শাসকরা শতাধিক আইন প্রয়োগ করেছে, যা আফগান নারীদের শিক্ষা থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
এর আগে, সম্মেলনের প্রথমদিন বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৫০ জনের বেশি শিক্ষক, গবেষক ও মন্ত্রী যোগ দেন। পাশাপাশি ইউনেস্কো, ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও প্রতিনিধিরা যোগ দেন।