গ্রেফতারি পরোয়ানার মধ্যেই শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণার মধ্যেই ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত।

এ বিষয়ে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার ভিসা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ভারতে তার অবস্থান সহজ করার জন্যই নেওয়া হয়েছে।

তারা আরও জানিয়েছেন, ভারতে শরণার্থী ও আশ্রয় সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই তাই ‘শেখ হাসিনাকে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে’ মর্মে যেসব অনুমান নির্ভর খবর ছড়াচ্ছে তা সঠিক নয়। ভিসা বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। এ প্রক্রিয়া আঞ্চলিক বিদেশি নিবন্ধন অফিস (এফআরআরও)-এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

সম্প্রতি শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান (অব.) বলে রাখেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তা হলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজি কমিশন।

এদিকে, বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ জুলাই মাসে বলপ্রয়োগ ও হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে সরকারের মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ মাজুমদার জানিয়েছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত ২২ জন এবং বলপ্রয়োগ ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৭৫ জনসহ মোট ৯৭ পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।

বিষয়গুলোকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে দেখছে নয়াদিল্লি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গুলো বলছে, ভারত বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ অনুরোধে সাড়া দেবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ ঢাকা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা এখনো শেষ করেনি।

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক নোট পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।

ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে জনসমক্ষে আসেননি শেখ হাসিনা। তাকে দিল্লির একটি নিরাপদ আবাসনে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Scroll to Top