নানা আনুষ্ঠানিকতা ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে নতুন ইংরেজি বছরকে বরণ করল বিশ্ববাসী। খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সালকে বিশ্বে সবার আগে স্বাগত জানায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কিরিবাতি। এরপর অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকা নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। খবর বিবিসির।
টাইম জোন বা সময় অঞ্চলের তারতম্যের কারণে পৃথিবীর সব দেশ একই সময় নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পারে না। কিছু দেশ কয়েক ঘণ্টা আগে, কোনো কোনোটি কয়েক ঘণ্টা পর এমনকি একদিন পরও নববর্ষকে স্বাগত জানানোর সুযোগ পায়।
কিরিবাতি ২০২৫ সালকে বরণ করা প্রথম দেশ। গ্রিনিচ মান সময় ১০টায় (বাংলাদেশ সময় ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায়) নতুন বছরকে স্বাগত জানায় ওশেনিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতি। এরপরই বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ২০২৫ সালকে বরণ করে নিউজিল্যান্ড। সন্ধ্যা ৭টায় ও তার পরে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, শ্রীলঙ্কা ও ভারত।
যুক্তরাজ্যে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সময় চকচকে আতশবাজির প্রদর্শন পুরো লন্ডনকে আলোকিত করে তোলে। তবে কিছু কিছু জায়গায় খারাপ আবহাওয়ার কারণে কিছু ইভেন্ট বাতিল করা হয়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সিরিয়া প্রথমবারের মতো নতুন করে বছরকে স্বাগত জানানোর সুযোগ পেয়েছে। তাই তাদের আনন্দটাও ছিল একটু বেশি। মুহুর্মুহু আতশবাজির ঝলকানিতে রঙিন হয়ে ওঠে দামেস্কের আকাশ।
ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাতে পৌঁছালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং আবুধাবি উভয়েই ২০২৫ সালকে স্বাগত জানায়। এ সময় আতশবাজির নানা প্রদর্শনী চলে শহরজুড়ে।
রাজধানী ব্রাসিলিয়া, রিও ডি জেনিরো এবং সাও পাওলোসহ ব্রাজিলের কিছু অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে।
এ ছাড়া সারা দেশে আতশবাজি প্রদর্শন করে নতুন বছরকে বরণ করা আরেকটি দেশ পাকিস্তান। যদিও লাহোরের লোকেদের জন্য শহরের বায়ুদূষণের কারণে আগের দিন আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।