আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে অসংখ্য হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলেও নতুন করে ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না বলে সাফ জানিয়েছে সিরিয়া। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১২ ঘণ্টায় ৬০টিরও বেশি ইসরাইলি বিমান হামলা হয়েছে সিরিয়ায়। অন্যদিকে আসাদের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত এই সংখ্যা প্রায় ৮ শতাধিক।
আলজাজিরার সাংবাদিক রেসুল সেরদার বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি, যা এখানে প্রায় একটি রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ ইসরাইলি বিমান হামলার কেন্দ্রবিন্দু দামেস্ক এবং এর উপকণ্ঠ বলেও জানান সেরদার। বলেন, ইসরাইলের হামলায় দামেস্কের একটি জেলায় গোলাবারুদ ডিপো এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে এটি ইসরাইলি কৌশলের একটি অংশ। যাতে তাদের হামলার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই সিরিয়া ছাড়তে বাধ্য হয় বাসিন্দারা।
এদিকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ না মানায় ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব কুনেইত্রা অঞ্চলে রাস্তা, বিদ্যুৎ লাইন এবং পানির নেটওয়ার্কগুলোও ধ্বংস করেছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, ইসরাইল পাঁচ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় ৬১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দামেস্কের কাছে হোমস, দেরা, সুওয়াইদা ও কালামউন পর্বতমালার সামরিক গুদামগুলোতে হামলা করেছে, পাশাপাশি হামা বিমানবন্দরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপরও হামলা হয়েছে।
অন্যদিকে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতা এবং সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের ডি ফ্যাক্টো প্রধান আহমেদ আল-শারা বলেছেন, ইসরাইলিরা সিরিয়ায় তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই ন্যায্যতা দিতে পারে না। তবে তাদের দেশ নতুন করে আর সংঘাতে জড়ানোর অবস্থায় নেই বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসরাইল স্পষ্টভাবে সিরিয়ায় ( ডিসএনগেজমেন্ট লাইন) বিচ্ছিন্নতা রেখা অতিক্রম করেছে, যা এই অঞ্চলে নতুন করে সংঘাতের হুমকি বাড়িয়েছে। কিন্তু তা লঙ্ঘন সত্ত্বেও বছরের পর বছর যুদ্ধ এবং সংঘাতের পরে নতুন দ্বন্দ্বে প্রবেশ করা ঠিক হবে না।
এই পর্যায়ে তাদের অগ্রাধিকার হলো সিরিযার পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা, বলেন আল-শারা