ভারতের মধ্য প্রদেশে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৬ বছরের এক কিশোরী। গত ২৫ নভেম্বর মউগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে হানুমানা থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, দুই ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে ‘জননী এক্সপ্রেস’ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এই অ্যাম্বুলেন্সটি মধ্য প্রদেশ সরকার পরিচালিত। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার গর্ভবতী নারী, অসুস্থ শিশু এবং নিম্নআয়ের পরিবারের সদস্যদের জন্য জরুরি পরিবহন সেবা দেওয়া হয়ে থাকে।
অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি হলেন অ্যাম্বুলেন্সচালক বিরেন্দ্র চতুর্বেদী এবং তার সহযোগী রাজেশ কেওয়াত। তারা মউগঞ্জ জেলার নাইগারহি তহসিলের বাসিন্দা।
মউগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সর্না ঠাকুর জানান, গত ২৫ নভেম্বর ভুক্তভোগী এফআইআর দায়ের করেন। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। অভিযুক্তদের খোঁজে অভিযান চালানো হয় এবং নাইগারহি থেকে বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
মউগঞ্জ আগে রেওয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২৩ সালে এটিকে পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, এক মাস আগেই রেওয়া জেলার গুরহ এলাকায় এক নববিবাহিত নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আটজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
এভাবে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা মধ্য প্রদেশের নারীদের সুরক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
সূত্র: এনডিটিভি