ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য বহনকারী প্রায় ১০০টি ট্রাকের ত্রাণে বিপুল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বিগত ১৩ মাসের যুদ্ধের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ত্রাণ লুটের ঘটনা। ইসরায়েলের নির্দেশে ইউএন এজেন্সি ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম দ্বারা সরবরাহ করা খাদ্য পরিবহনকারী কনভয়কে কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং থেকে না গিয়ে অন্য একটি অপরিচিত রুট দিয়ে যেতে বলা হয়। বিকল্প রুটে পরিবহণের সময় এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে আরব নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৬ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে। জাতিসংঘের দুটি সংস্থা এই ত্রাণ দেয়ার কার্যক্রমে জড়িত ছিল। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ত্রাণ কর্মীরা জানান, গাজার ক্ষুধার্থ মানুষের আহাজারি অনেক প্রকট। দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ দিকে যাচ্ছে।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর সিনিয়র ইমার্জেন্সি অফিসার লুইস ওয়াটারিজ বলেছেন, ইউএন এজেন্সি ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম দ্বারা সরবরাহ করা খাদ্য পরিবহনকারী কনভয়কে ইসরায়েল নির্দেশ দিয়েছিলো যাতে কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং থেকে না গিয়ে একটি অপরিচিত রুট দিয়ে যেতে। স্বল্প নোটিশে, ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে।
কাফেলার মোট ১০৯টি ট্রাকের মধ্যে ৯৮টি ট্রাকে হামলাকারীরা আক্রমণ চালায়। এই ঘটনার সময় কয়েকজন পরিবহনকারীও গুরুতর আহত হয়। তবে, কারা অতর্কিত এই হামলা চালিয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের একজন মুখপাত্র লুটপাটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে নিরাপত্তা সমস্যার কারণে গাজার অনেক রুট বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন যে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মানবিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে। তবে, হঠাৎ করে নিয়মিত রাস্তা বদলে, স্বল্প নোটিশে, অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার নিদেশ কেন ইসরায়েল দিয়েছে; সেই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।