নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার কথিত ইরানি ষড়যন্ত্রের অভিযোগে একজন আফগানি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দেশটির বিচার বিভাগ ফরহাদ শাকেরি (৫১) নামের এক আফগানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনে। যদিও অভিযুক্ত শাকেরি এখন ইরানে অবস্থান করছেন। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলেছে, ফরহাদ শাকেরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর ট্রাম্পকে হত্যার জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দাবি করেছেন, আইআরজিসির বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ট্রাম্পকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা তার ছিল না।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সাথে তার একাধিক সংলাপে সন্দেহভাজনদের ভাড়া করা নিয়ে আলাপের সময়ে একটি নথিতে বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
নথিপত্রগুলোতে এমন আভাস পাওয়া যায় যে শাকেরি যুক্তরাষ্ট্রে আটক একজন বন্দির জেলের মেয়াদ কমাতে এফবিআইয়ের সাথে কথা বলতে রাজি হন। তবে শাকেরি দাবি করেছেন, ওই সব সংলাপের সময়ে তিনি তেহরানে ছিলেন।
শাকারি এফবিআইকে বলেন যে ইসলামিক রিভ্যুলিউশানারি গার্ড কোরের এক কর্মকর্তা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষ অবধি তার সাথে যোগাযোগ করেন। তিনিই নিউ ইয়র্কের একজন ইরানি ভিন্ন মতাবলম্বী ও সাংবাদিকের পরিবর্তে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করতে বলেন।
শাকেরি বলেন, তাকে সাত দিনের মধ্যে পরিকল্পনা দেয়ার কথা বলা হয়। এই ব্যক্তিটি বলেন, ট্রাম্পকে টার্গেট করাটা ব্যয়বহুল ব্যাপার হবে। তখন ইসলামিক রিভ্যুলিউশানারি গার্ড কোরের ওই কর্মকর্তা তাকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই অনেক অর্থ ব্যয় করেছি। অর্থ কোন ব্যাপার নয়।’
বিচার বিভাগের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শাকেরি ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ডাকাতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০০৮ সালে তাকে ইরানে ফেরত পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বাগদাদে যে ড্রোন আক্রমণে আইআরজিসির কুদস বাহিনীর নেতা কাসেম সোলেইমানি নিহত হন, তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাক্তন ও ভবিষ্যত প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালানো হয়।