ফিলিস্তিন এবং আরবদের নিয়ে কটুক্তিমূলক মন্তব্য করায় ইসরায়েলিদের ব্যাপক পিটিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে নেদারল্যান্ডসে উয়েফা ইউরোপা লীগে ডাচ দল আয়াক্স ও ইসরায়েলি দল ম্যাকাবি তেল আবিবের ম্যাচ শেষে এ ঘটনা ঘটে।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, ফিলিস্তিন এবং আরবদের নিয়ে কটুক্তিমূলক মন্তব্য করার পর ইসরায়েলিদের ওপর রাগান্বিত হন অনেকে। এরপর ম্যাচ শেষে তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়। এই সময় কয়েকজন নিচে পড়ে যাওয়ার পর তাদের কিল ঘুষি লাথি মারতে দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলি সমর্থকরা স্লোগান দিচ্ছেন ‘গাজায় কোনো স্কুল প্রয়োজন নেই। কারণ সেখানে কোনো শিশু নেই।” এছাড়া আরও একটি জঘন্য স্লোগান দিতে শোনা যায় তাদের।
ইসরায়েলি সমর্থদের ওপর হামলার পর দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নেদারল্যান্ডসে দুটি বিমান পাঠানোর ঘোষণা দেন। এই বিমানগুলো দিয়ে ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনা হবে।
এছাড়া এসব ইসরায়েলিকে আনার জন্য নেদারল্যান্ডসে সেনা পাঠানোর একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নেতানিয়াহুর সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে তারা সেখান থেকে সরে আসে।
ইসরায়েলিদের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনপন্থিদের হামলার মুখে পড়ার পর অনেক ইসরায়েলি তাদের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেছেন। ইসরায়েলের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যারা পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছেন তারা চাইলে চাইলে পাসপোর্টের ফটোকপি দেখিয়ে ইসরায়েলে ফিরতে পারবেন।
এসব ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের ওপর হামলাকে ‘ইহুদিবিদ্বেষ’ হিসেবে অভিহিত করেছে ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও এটির শুরুটা হয়েছিল ইসরায়েলিদের ফিলিস্তিন ও গাজাকে নিয়ে কটূক্তিকে নিয়ে। ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের ফিলিস্তিনি বিরোধী স্লোগান দেওয়া ছাড়াও ফিলিস্তিনের পতাকা ছিড়তে দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাস এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, “ইসরায়েলের ম্যাকাবি তেল আবিবের কয়েকশ সমর্থকের ওপর আমস্টারডামে বৃহস্পতিবার আকস্মিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা ডাচ দল আয়াক্সের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।”