ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের একটি মসজিদে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ওই মসজিদটিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল। হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রোববার (৬ অক্টোবর) দেইর আল-বালাহ শহরে আল-আকসা মার্টিয়াস হাসপাতালের পাশে একটি মসজিদে বোমা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ওই মসজিদটিতে বাস্তুচ্যুত অনেক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হামলার বিষয়েটি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি বাহিনীও। তাদের দাবি বোমা বিস্ফোরিত মসজিদটি হামাসের কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া এক পোস্টে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, দেইর আল-বালাহতে ‘সাহাদা আল-আকসা মসজিদটি’ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল কমপ্লেক্স’ হিসেবে ব্যবহার করছিল হামাস। তাই সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
পোস্টে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী আরও দাবি করেছে, মসজিদে বোমা হামলার আগে ‘বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল’।
এদিকে শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইলি বাহিনী গত এক বছরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৭৯ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তীব্র বোমাবর্ষণে গাজার এক হাজার ২৪৫টি মসজিদের মধ্যে ৮১৪টি মসজিদ মাটির সাথে মিশে গেছে এবং আরও ১৪৮টি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মসজিদের পাশাপাশি তিনটি গির্জা এবং ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ১৯টি ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
এসব ধর্মীয় সম্পত্তি গুলোর ক্ষতির আনুমানিক আর্থিক ব্যয় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বলে মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে।