ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় লেবানন থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। লেবাননের পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী নাসের ইয়াসিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন।
লেবাননে বর্তমান সংকটময় অবস্থা সামাল দিতে নাসের ইয়াসিন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। রয়টার্সকে তিনি বলেন, গত শুক্রবার থেকে ইসরাইলি হামলা জোরদার হওয়ায় লেবাননের হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের ভারী বোমাবর্ষণের কারণে অনেক পরিবারকে দক্ষিণ বৈরুতের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি হামলার কারণে লেবানন থেকে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লেবাননের দক্ষিণ উপশহরে অবস্থিত হিজবুল্লাহর সদর দফতরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইলি বিমান বাহিনী। এতে হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয় বলে শনিবার দাবি করে তেল আবিব। তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলের এমন দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও পরে বিষয়টি নিশ্চিত করে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটি।
এদিকে হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর লেবাননে হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার তারা বৈরুতের দাহিয়েতে ‘নির্ভূল’ হামলা চালিয়েছে। তবে কার ওপর হামলা চালিয়েছে সেটি তারা তাৎক্ষণিকভাবে উল্লেখ করেনি।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলার পর বৈরুতে বিকট শব্দ শোনা গেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, হামলাটি বেশ বড় ছিল।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় শনিবার অন্তত ৩৩ জন নিহত ও ১৯৫ জন আহত হয়েছেন।
ইসরাইলের দাবি, ইসরাইলের হামলার লক্ষ্যবস্তু শুধুই হিজবুল্লাহর ঘাঁটি। তবে, হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতাসহ বহু সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জীবনরক্ষায় ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বাড়ছে আহাজারি।