ইসরায়েলে বৈধ অভিবাসনের প্রলোভন দেখিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে আফ্রিকান আশ্রয়প্রার্থীদের। তেলআবিবের গণমাধ্যম হারেৎজ-এর প্রতিবেদনে সামনে এলো এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঠিক কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় তাদের নিয়োগ হয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, সংগঠিত পদ্ধতিতেই চলছে এ প্রকল্প। যদিও এখনও কোনো আশ্রয়প্রার্থী আফ্রিকানকে বৈধ কাগজপত্র দেয়া হয়নি- এমন তথ্যও উঠে এসেছে হারেৎজের প্রতিবেদনে।
দুই সপ্তাহ চলবে ট্রেনিং। তারপর ইসরায়েলি সেনাদের সাথে যুদ্ধের ময়দানে নামতে হবে লড়াইয়ে। তাহলেই মিলবে ইসরায়েলে বসবাসের অনুমতি। আশ্রয়প্রার্থী আফ্রিকানদের এমন প্রস্তাব দিয়েছে তেলআবিব।
তবে ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় কীভাবে নিয়োগ হয় এসব আশ্রয়প্রার্থীর তা জানানো হয়নি প্রতিবেদনে। বলা হয় বিষয়টি কনফিডেনশিয়াল; তাই গোপন রাখতে চায় সেনাবাহিনী। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টাদের নির্দেশনায় সংগঠিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে বিশেষ এ প্রকল্প- দাবি কর্মকর্তাদের।
হারেৎজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আশ্রয়প্রার্থী জানান, যুদ্ধে যেতে রাজি হলে অস্থায়ী পরিচয়পত্রের একটি কপি জমা দিতে বলেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। ২ সপ্তাহের সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে যুদ্ধের ময়দানে নামতে হয় সেনাদের সাথে। আর এরপরই মিলবে দেশটিতে বসবাসের সরকারি মর্যাদা-দেয়া হয় এমন আশ্বাস।
তবে হারেৎজ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সেসব আশ্রয়প্রার্থী যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন তাদের কেউই পায়নি বৈধ অভিবাসীর কাগজ। গণমাধ্যমটির জরিপ অনুসারে, ইসরায়েলে বসবাসের বৈধতা চাইছে প্রায় ৩০ হাজার আফ্রিকান।