অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বন্যায় ঢুবে থাকা ভারতের ত্রিপুরায় আবারও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ত্রিপুরার সব বিভাগে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে।
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, ত্রিপুরার দক্ষিণ, উত্তর, উনাকোতি এবং ধালাই বিভাগে (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া সব বিভাগে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে।
এমন অবস্থায় ত্রিপুরায় পানি আরও বাড়তে পারে অর্থাৎ, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে। কারণ ত্রিপুরার অংশে থাকা গোমতী নদীর উপর তৈরি ডম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার পরই স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। এতে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। এখনও পানির নিচে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলা।
আইএমডি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে একটি নিম্নচাপ তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার থেকে সেটি গঠিত হওয়া শুরু করবে। বঙ্গপোসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরও কয়েকদিন ভারি বর্ষণ হতে পারে ত্রিপুরায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভয়াবহ এ বন্যায় ত্রিপুরায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। রাজ্যের আটটি জেলার ৬ হাজার ৬০০ পরিবারের ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।