মিসরের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত হুসেইন হারিদি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল জাজিরার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘মূলত সব পক্ষই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি প্রকাশ করেছে, কিন্তু কিছু মতবিরোধ এখনও রয়ে গেছে।’
হারিদি আরও উল্লেখ করেন, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে কিছু মতবিরোধ রয়েছে, তবে তিনি আশাবাদী যে, আলোচনায় অংশ নেওয়া কারিগরি দলগুলো এই মতবিরোধগুলোর সমাধান করতে সক্ষম হবে এবং চুক্তিটি সম্পন্ন করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুঝতে পারছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যে রয়েছে।
এদিকে, ইরানের আধাসরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানী শীঘ্রই ইরান সফরে যাবেন। এই সফরে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান আলোচনায় কাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করছে, একই সময়ে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে।