ট্রাম্প বলেছিলেন ‘উন্মাদ’, কমলা বললেন ‘কাপুরুষ’

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পরোক্ষভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, আসন্ন ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী একজন ‘কাপুরুষ’। বিরোধীদের হেয় করাটাই তাঁর রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু।

ভোটযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে কমলা হ্যারিস এমন কথা বলেছেন। পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে কমলার সঙ্গে তাঁর রানিং মেট ও মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ ছিলেন। পেনসিলভানিয়ায় সমাবেশ শেষ করার পর শিকাগোর উদ্দেশে রওনা দেন কমলা। শিকাগোতে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনে যোগ দেবেন। আজ সোমবার এ ন্যাশনাল কনভেনশন শুরু হবে। এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমলা হ্যারিস ইতিমধ্যে শিকাগোতে পৌঁছেছেন।

এর আগে পেনসিলভানিয়ায় সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে কমলা হ্যারিস বলেন, কয়েক বছর ধরে একধরনের প্রবণতা দেখে গেছে যে একজন নেতা কতটা হেয় করছেন, এর ভিত্তিতেই তাঁর শক্তিমত্তা মাপা হচ্ছে। অথচ সত্যিকার অর্থে তা হওয়ার কথা ছিল না।

কমলা বলেন, ‘যে মানুষ অন্য মানুষকে হেয় করতে চান, তিনি কাপুরুষ।’ তবে তিনি সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি।

ট্রাম্প নিজেও গত শনিবার পেনসিলভানিয়ার পূর্বাঞ্চলে সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কমলা হ্যারিসকে ‘উগ্রপন্থী’ ও ‘উন্মাদ’ বলে উল্লেখ করেন।

জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, নির্বাচনী প্রচারে নতুন করে গতি এনেছেন কমলা হ্যারিস। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জাতীয়ভাবে এবং পেনসিলভানিয়াসহ আটটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যের অনেকগুলোতে ব্যবধান মিটিয়ে ফেলেছেন। এটি তাঁকে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উত্তরসূরি হিসেবে বাছাই করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নভেম্বরের নির্বাচনে জিতলে কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয় ঐতিহ্যের কমলা হ্যারিস হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

আগামী বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন গ্রহণ করবেন তিনি। কমলা বলেছেন, সেদিন যে বক্তব্য দেবেন, তার অনেকটাই ইতিমধ্যে লিখে ফেলেছেন।

শনিবার ট্রাম্প বলেছেন, কমলাকে হারানোটা ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর গত মাসে নিজ দলের নেতাদের চাপের মুখে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

২০১৬ সালে উইসকনসিন ও মিনেসোটার পাশাপাশি পেনসিলভানিয়ায় জয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়কে সুগম করেছিল।

পেনসিলভানিয়ায় বেড়ে ওঠা বাইডেন ২০২০ সালের নির্বাচনে এ তিন অঙ্গরাজ্যে বিজয় নিশ্চিত করেছিলেন। কমলা হ্যারিসও এসব অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাটদের জয় ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।

Scroll to Top