মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালানোর সময় এক দল রোহিঙ্গার ওপর ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই হামলায় কমপক্ষে ২০০ রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন।
তিন প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি মতে, নিহত হওয়া মানুষের সংখ্যা ২০০ জনের বেশি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি নিজে কমপক্ষে ৭০টি মরদেহ দেখেছেন।
গত সোমবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। হতাহত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্তে অবস্থান করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে তিনজন শুক্রবার রয়টার্সকে জানান, আরাকান আর্মি এই হামলার জন্য দায়ী।
কিন্তু আরাকান আর্মি হামলার দায় অস্বীকার করেছে। আরাকানের এই বিদ্রোহী বাহিনী ও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ওই হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে। হামলাটি কারা চালিয়েছে বা হামলায় কতজন নিহত হয়েছেন, স্বতন্ত্রভাবে তা যাচাই করতে পারেনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কাদার মধ্যে লাশের পর লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের স্যুটকেস ও ব্যাকপ্যাক চারপাশে পড়ে রয়েছে।
রয়টার্স ভিডিওগুলোর স্থান যাচাই করে ঘটনাটি মিয়ানমারের উপকূলীয় শহর মংডুর ঠিক বাইরে ঘটেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে। তবে কবে ভিডিওগুলো ধারণ করা হয়েছে রয়টার্স তা নিশ্চিত হতে পারেনি।