miscri

ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিব হলেন ‘চীন-বিশেষজ্ঞ’ বিক্রম মিশ্রি

ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ‘চীন-বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে পরিচিত কূটনীতিক বিক্রম মিশ্রি। সোমবার (১৫ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ভারতের ১৯৮৯ ব্যাচের ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা বিক্রম মিশ্রি পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিক্রম মিশ্রি এমন সময়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব নিলেন যখন পূর্ব লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এবং বৈদেশিক নীতিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে নয়াদিল্লিকে।

ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র রান্ধীর জয়সওয়াল সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন,
আজ (সোমবার) পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব নিচ্ছেন বিক্রম মিশ্রি। তাকে পররাষ্ট্র দফতরে স্বাগত ও তার সাফল্য কামনা করছি।

বিক্রম মিশ্রির পরিচয়

১৯৬৪ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্মগ্রহণ করেন বিক্রম মিশ্রি। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত হিন্দু কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক শেষ করার পর তিন বছর বিজ্ঞাপন জগতে ছিলেন।

ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস অফিসার হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মিশ্রি। ওই তিন প্রধানমন্ত্রী হলেন- ইন্দ্রকুমার গুজরাল (১৯৯৭), মনমোহন সিং (২০১২-২০১৪ সাল) এবং নরেন্দ্র মোদি (২০১৪ সালের মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত)।

২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্পেনে রাষ্ট্রদূত ছিলেন মিশ্রি। তারপর রাষ্ট্রদূত হয়ে যান মিয়ানমারে। এছাড়া বেলজিয়াম, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা ও জার্মানির মতো দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চীনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন মিশ্রি। সে সময় পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও চীনের সংঘাত চরমে পৌঁছায়।

এছাড়া ২০২০ সালের জুনে গালওয়ানে সংঘর্ষের সময় বিক্রম মিশ্রি চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ওই সময় নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে আলোচনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

Scroll to Top