ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের প্রশংসা করেছেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি ফিলিস্তিদের প্রতি সমর্থনের জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ধন্যবাদ জানান। হুথি সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আল-মাশাতের সঙ্গে এক ফোনালাপে পেজেশকিয়ান এ প্রশংসা করেন। তিনি লোহিত সাগরে হুথিদের পদক্ষেপকে ’সাহসী’ সিদ্ধান্ত হিসেবেও উল্লেখ করেন।
গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে চলাচলকারী পশ্চিমা জাহাজে হামলা শুরু করে। তাদের দাবি, শুধু ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তু। এ হামলার কারণে লোহিত সাগরে চলাচলকারী অন্যান্য দেশের জাহাজ ও বাণিজ্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হুথি হামলায় কমপক্ষে ৭০টি জাহাজ আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত চারজন ক্রু নিহত ও দু’টি জাহাজ সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। তাছাড়া একটি বাণিজ্যিক জাহাজ হুথিদের কবজায় রয়েছে।
হুথি হামলায় লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজও রেহাই পাচ্ছে না। এতে বিশ্ব বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই রুট দিয়ে বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। হুথি হামলায় এই বাণিজ্যের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ হামলা এবং বিশ্ব বাণিজ্যে প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হচ্ছে, হুথিদের প্রতি পেজেশকিয়ানের সমর্থন এ অঞ্চলে ইরান-সমর্থিত অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সাম্প্রতিক যোগাযোগের সামঞ্জস্য রয়েছে। গত সপ্তাহে তিনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চিঠি দেন। তাতে তিনি যুদ্ধে হামাসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে পেজেশকিয়ান লেবানন-ভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেলকে অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। যা নতুন প্রশাসনের অধীনে ইরানের আঞ্চলিক নীতির ধারাবাহিকতা প্রতিফলিত করে। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ বলেছিলেন, ইরানে প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনে হিজবুল্লাহ এবং এই অঞ্চলে ইরান-সমর্থিত অন্যান্য গোষ্ঠীর প্রতি তেহরানের সমর্থনকে পরিবর্তন করবে না।