ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের ‘নিরাপদ অঞ্চল’ আল-মাওয়াসি এলাকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় অন্তত ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৮৯ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের দাবি, এবারের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার কথিত এক মাস্টারমাইন্ডকে নিশানা করে করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে টার্গেট করে শনিবার (১৩ জুলাই) খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত মানুষের শিবিরে হামলা করা হয়েছে। এই হামলায় দেইফ ছাড়াও খান ইউনিসের কাসাম ব্রিগেডের প্রধান রাফে সালামাকে নিশানা করা হয়েছে। তারা দুজন নিহত হয়েছেন কিনা, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
তবে দেইফ ও সালামাকে টার্গেট করার যে দাবি ইসরায়েল করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি ইসরায়েলি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই এলাকাটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সেখানেই এই হামলা করা হলো।
এ ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, হামলার স্থানটিকে দেখে মনে হচ্ছে সেখানে ‘ভূমিকম্প’ আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে হতাহতদের স্ট্রেচারে তোলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বহু মানুষ হতাহত হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কুয়েত ফিল্ড হাসপাতাল ও আল-নাসের হাসপাতাল। এ ছাড়া কুয়েত ফিল্ড হাসপাতালের ফুটেজে দেখা গেছে, চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিরা মেঝেতে পড়ে আছেন।