ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সেই সম্মেলনের ফাঁকেই আলাদা করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এবং গ্রীক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিসসহ ন্যাটোর বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার সাথে আলোচনা করেছেন এরদোগান। এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ছাড়াও গাজায় ইসরাইলের একতরফা যুদ্ধ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, বুধবার ন্যাটোর সম্মেলনের ফাঁকে তিনটি পৃথক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন এরদোগান। এ সময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন তুর্কি নেতা।
মেলোনির সাথে সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, তুর্কি এবং ইতালির মধ্যে সম্পর্ক গৃহীত পদক্ষেপগুলির বিকাশ অব্যাহত থাকবে এবং দেশ দুটি এর জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।
এরদোগান আরও বলেন, ‘আঙ্কারা শান্তির মাধ্যমে আশপাশের অঞ্চলে উত্তেজনা অবসানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এ জন্য সকল দেশের প্রচেষ্টা করা উচিত।’
মিটসোটাকিসের সাথে সাক্ষাত নিয়ে এরদোগান বলেন, তুর্কি প্রতিবেশী নীতির ভিত্তিতে গ্রীসের সাথে ‘সংহতির চেতনা’ বিকাশের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেননা, ইউক্রেন এবং ফিলিস্তিনে সংঘাতের অবসান ঘটাতে প্রচেষ্টা বাড়ানো উচিত।’
খবরে বলা হয়েছে, ন্যাটোর ফাঁকে শোলজের সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়ে এরদোগান গাজায় হামলা বন্ধে জোর দিয়েছেন। এ সময় শোলজকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গাজায় হামলা বন্ধ করতে এবং যুদ্ধবিরতির সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য ইসরাইলের উপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত।
বিপরীতে এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে জার্মান প্রেসিডেন্ট শোলজ জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করতে জার্মানির কাছ থেকে সমর্থন আশা করেছে তুরস্ক।