২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক হামলা শুরু করে রাশিয়া। যা এখনো চলমান। এরপর থেকে সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ইউক্রেনকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছে জো বাইডেন প্রশাসন। আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পায় সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন নীতি কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
গতকাল থেকে ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে ন্যাটোর অধিবেশন। সেখানে ইউক্রেনকে রাশিয়ার হামলা থেকে বাঁচতে আরও আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জো বাইডেন। তবে আগামী নির্বাচনে বাইডেনের জয় নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিশেষ করে প্রথম বিতর্কে ট্রাম্পের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেননি তিনি।
ন্যাটোর অধিবেশনে অংশ নিয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলেও রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অটুট রাখবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি তাকে খুব ভালোভাবে চিনি না। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তার সঙ্গে কয়েকটি সুন্দর বৈঠক হয়েছে। তবে সেটি ছিল ২০২২ সালে রাশিয়ার হামলা শুরুর আগে। তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে কী পদক্ষেপ নেবেন, তা বলতে পারছি না।’
ট্রাম্প যদি হোয়াইট হাউসে ফের ক্ষমতায় আসে সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো জোট, ইউক্রেন নীতি এবং অভিবাসী ইস্যুতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। যদিও গতকাল ট্রাম্প দাবি করেছেন, ক্ষমতায় ফিরলে ন্যাটো থেকে বের হবেন না তিনি।
২০২২ সালের ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলা পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রায় ছয় হাজার কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বরাবরই ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তার পাঠানোর সমালোচনা করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের মিত্র হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর ভিক্টর অরবানের কথায় ট্রাম্পের ইউক্রেন নীতি আরও পরিস্কার। চলতি বছরে মার্চে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে অরবান বলেছিলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে তিনি (ট্রাম্প) একটি পয়সাও দেবেন না। এ কারণেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে।’