রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তার দেশ সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয় বরং ইউক্রেন যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি চায়। শুক্রবার (৫ জুলাই) মস্কো সফররত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে এক সাক্ষাতে পুতিন এ কথা বলেন।
সম্প্রতি কিয়েভ সফর করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। এরপরই করলেন মস্কো সফর। পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হাঙ্গেরির এই প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে চলমান সংকট সমাধানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করছেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
শুক্রবার ক্রেমলিনে ভিক্টরের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, কেবল যুদ্ধবিরতি বা শত্রুতা বন্ধ করার মাধ্যমে সংকট আপাতত থামিয়ে না রেখে এর পূর্ণাঙ্গ সমাধান চায় মস্কো। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতেও সম্মতি নেই মস্কোর। সংঘাতের চূড়ান্ত সমাপ্তি চায় রাশিয়া। বিরতি দিয়ে কিয়েভকে ক্ষতি কাটিয়ে উঠে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দিতে নারাজ মস্কো।
এ সময় যুদ্ধ শেষ করার জন্য কিছু শর্ত ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষ করার আগে দনবাস অঞ্চলের পাশাপাশি জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
এর কারণ হিসেবে তিনি ওই অঞ্চলগুলো গণভোটের ভিত্তিতে রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলে জানান। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে আরও কিছু শর্ত মানতে হবে কিয়েভকে। তবে সেগুলো যৌথ প্রচেষ্টার সময় পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার প্রয়োজন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, যুদ্ধবিরতি বা ইউক্রেন-সংকট কাটিয়ে ওঠা নিয়ে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে মতপার্থক্য যোজন যোজন। এই দূরত্ব দূর করতে এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে।