ভারতের সবশেষ লোকসভা নির্বাচনে চমক দেখিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। নির্বাচনি ‘প্রকল্প’ হিসেবে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর অনেকেরই ধারণা ছিল এখানে নিশ্চিত জয় পেতে যাচ্ছে তার দল বিজেপি। কিন্তু তা হয়নি। এখানে বিজেপিকে হারিয়ে দেয় সমাজবাদী পার্টির আধেশ প্রসাদ।
এবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, আগামীতে তারা গুজরাটেও বিজেপিকে হারাবে। ভারতের রাজনীতিতে গুজরাটকে বিজেপির ঘাঁটি হিসেবেই চেনা হয়। সরকার গঠনের মতো পর্যাপ্ত আসন না পেলেও বিজেপিকে একরকম বড় ধাক্কা দেয় কংগ্রেস। তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনে এই প্রথম বিজেপিকে ভরসা রাখতে হয়েছে জোটসঙ্গীদের ওপর।
আহমেদাবাদে গিয়ে রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, বিজেপি গুজরাটে তাদের অফিস ভাঙচুর করেছে এবং দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা করেছে।
কংগ্রেসকর্মীদের উদ্দেশে প্রতিবাদ সভায় রাহুল বলেন, ‘একসঙ্গে আমরা গুজরাটে তাদের পরাজিত করতে যাচ্ছি। আমরা নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে গুজরাটেও হারাব, যেমনটা আমরা তাদের অযোধ্যায় পরাজিত করেছি..। ’
অযোধ্যার সংসদীয় আসন ফৈজাবাদে সমাজবাদী পার্টির আধেশ প্রসাদের কাছে হেরে যান বিজেপির লাল্লু সিং। ভোটের ব্যবধান ছিল ৫৪ হাজার। এ খবর দ্রুতই ছড়িয়ে যায় বিশ্বজুড়ে। বিজেপির জন্য এ আসন হারানো কঠিন ছিল। ঠিক কী কী কারণে বিজেপি প্রার্থী অযোধ্যায় হেরেছে তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রাহুল।
অযোধ্যায় বিজেপির নীতির সমালোচনা করে রাহুল আরও বলেন, ‘রামমন্দির নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় মানুষের কাছ থেকে অনেক জমি নেওয়া হয়েছিল। আজ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি সরকার তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়নি। দ্বিতীয়ত, কৃষকদের জমিতে অযোধ্যায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করা হলো, এমনকি তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। তৃতীয়ত, রামমন্দির উদ্বোধনে অযোধ্যার একজনও উপস্থিত ছিলেন না; যা জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। এ কারণেই অযোধ্যায় এনডিএ হেরেছে এবং ইন্ডিয়া জোট জিতেছে’।