অনিবন্ধিত আফগান শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে চলেছে পাকিস্তান। আজ রোববার (৩০ জুন) বিতর্কিত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারের ধাপে ৮ লাখের বেশি আফগান নাগরিককে পাকিস্তান থেকে বের করে দেয়া হতে পারে। যদি এসব শরণার্থী স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ না করে তাহলে তাদের গ্রেপ্তার ও দেশত্যাগে বাধ্য করা হতে পারে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে প্রথম ধাপে প্রায় ৫ লাখ ৪১ হাজার আফগানকে জোর করে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠিয়েছিল পাকিস্তানি সরকার।
পাকিস্তান সরকারের দাবি, তাদের দেশে প্রাদয় ৪৪ লাখ আফগান শরণার্থী বসবাস করেন। তাদের মধ্যে ১৭ লাখের বেশি মানুষের কোনো নিবন্ধন নেই। মূলত নিরাপত্তা ও সংকটপূর্ণ অর্থনীতির অজুহাত দিয়ে আফগান শরণার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করেছে দেশটির সরকার।
বিগত দুই বছর ধরে পাকিস্তানে সশস্ত্র হামলা নাটকীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশিরভাগ হামলা দেশটির আফগান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হয়েছে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তানে অবস্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও ব্যক্তিরা এসব হামলার সঙ্গে জড়িত। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার।
ইসলামাবাদে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি ফিলিপা ক্যান্ডলার আলজাজিরাকে বলেছেন, পাকিস্তান সরকারের উচিত অনিবন্ধিত আফগানদের বহিষ্কারের আগে তাদের সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করা। কেননা তাদের অনেকের আন্তর্জাতিক সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, তারা শরণার্থী। তারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। তারা দেশপলাতক এবং তাদের এখণ সুরক্ষা প্রয়োজন। যদি কোনো আফগান নাগরিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, তাহলে সেটাকে আলাদাভাবে সামাল দেয়া উচিত।