লোহিত সাগরে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হুতিদের হামলার শিকার হয়ে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট আরেকটি জাহাজ ডুবে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ইউকেএমটিও। এ নিয়ে হুতিদের হামলায় দুটি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটলো। খবর রয়টার্স ও ইরনার।
এর আগে গত ১২ জুন লোহিত সাগরের হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা বন্দরের প্রায় ৬৬ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে গ্রিসের মালিকানাধীন টিউটর জাহাজে হামলা করে হুতিরা। হামলার কারণে তখনই জাহাজে পানি উঠতে শুরু করেছিল। এক সপ্তাহ পর এখন জাহাজটি ডুবে গেল।
হুতি বিদ্রোহীরা বলেছে, এটি একটি কয়লাবাহী জাহাজ। মনুষ্যবিহীন সারফেস বোট, ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হলে জাহাজটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদলের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের সতর্কবার্তা উপক্ষো করে জাহাজটি ইসরায়েলের দখলকৃত বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালি এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে হুতিরা। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গত ২ মার্চ প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন রুবিমার জাহাজ ডুবে যায়।
হুতিদের দাবি, গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ হলেই এসব জাহাজে আক্রমণ বন্ধ করবেন তারা। হুতিদের হামলার ভয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ এড়িয়ে এখন ভিন্ন পথে গন্তব্য যাচ্ছে জাহাজগুলো। এর ফলে এসব জাহাজ কোম্পানির পরিবহন ব্যয় বাড়ছে।
হুতিদের দমাতে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে লোহিত সাগরে একটি নৌটহল দল গঠন করে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইয়েমেনের ভেতরে ইরানপন্থী এই গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। তবে এত কিছু করেও এখন পর্যন্ত ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।