ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহর সিনিয়র ফিল্ড কমান্ডার নিহত হওয়ার জবাবে দেশটিতে দ্বিতীয় দিনের মতো হামলা অব্যাহত রয়েছে। লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলে ১৫০টি রকেট ছোড়ার পর অধিকৃত গোলান মালভূমি ও আপার গ্যালিলের ১৫টি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ইসরায়েলের দৈনিক মারিভের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তর ইসরায়েলের শহরজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছে। বিকেলের দিকে লেবানন থেকে প্রায় ৪০টি রকেট ছোড়া হয়। লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে সাফেদসহ ইসরায়েলি শহরের উপরে অসংখ্য রকেট প্রতিহতের ফুটেজ সম্প্রচার করেছে ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কান।
ইসরায়েলের জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রের শার্পনেলের আঘাতে দুজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া খোলা জায়গায় রকেট আঘাত হানলে বেশ কয়েকটি এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা করে আসছে। তবে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার তালিব সামি আবদুল্লাহ নিহত হলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ জুন) গভীর রাতে দক্ষিণ লেবাননের জাওয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানলে তালিব সামি আবদুল্লাহ মারা যান। আট মাসের বেশি সময় ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলায় তিনিই এখন পর্যন্ত নিহত হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় কর্মকর্তা। এ ছাড়া এই ঘটনায় হিজবুল্লাহর আরও তিনজন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
১৯৬৯ সালে লেবাননের আদশিত অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন তালিব সামি আবদুল্লাহ। তবে তিনি হাজি তালিব নামেও বেশ পরিচিত। গতকাল বুধবার বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে তার জানাজা হয়।
হাজি তালিবের জানাজায় অংশ নিয়ে হিজবুল্লাহর কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রধান সাইয়েদ হাশেম সাফি আল-দিন বলেন, তালেব সামি আবদুল্লাহর শাহাদাতের জবাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া হলো আমরা আমাদের অভিযান আরও জোরদার করব। যদি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর ইসরায়েলে ইতোমধ্যে যা আঘাত হেনেছে তাতেই কান্নাকাটি ও হাহাকার শুরু করে। তবে তাদের আরও কান্না ও হাহাকার করার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।