ইরাকের ইসলামিক প্রতিরোধ জোটের সঙ্গে যৌথভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা জোরদারের ঘোষণা দিয়েছেন ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হুতি বিদ্রোহীদের প্রধান আবদুল মালিক আল-হুতি। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা আরও তীব্র করার এই ঘোষণা দেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
এর আগে হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, ইরাকি ইসলামিক প্রতিরোধ জোটের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে জাহাজে দুটি যৌথ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছেন হুতি যোদ্ধরা। তবে তাদের এমন দাবি অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ইতিমধ্যে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮০ হাজারের বেশি মানুষ।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালি এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে হুতিরা। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ হলেই এসব জাহাজে আক্রমণ বন্ধ করবেন তারা। হুতিদের হামলার ভয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ এড়িয়ে এখন ভিন্ন পথে গন্তব্য যাচ্ছে জাহাজগুলো। এর ফলে এসব জাহাজ কোম্পানির পরিবহন ব্যয় বাড়ছে।
হুতিদের দমাতে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে লোহিত সাগরে একটি নৌটহল দল গঠন করে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইয়েমেনের ভেতরে ইরানপন্থী এই গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। তবে এত কিছু করেও এখন পর্যন্ত ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।