লোকসভা ভোটে জয়ের আনন্দে আত্মহারা কঙ্গনা রানাউত। তবে সেই আনন্দ যেন মাটি হয়ে গেল এক নিমিষেই!হঠাৎ করেই হেনস্থার মুখে পড়তে হল বিজেপির সদ্য জয়ী সংসদ সদস্যকে। এক সিআইএসএফ নারী জওয়ানের হাতে থাপ্পড় খেলেন কঙ্গনা!রীতিমত হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বৃহস্পতিবার বিকালে মান্ডি থেকে বিপুল ভোটে জিতে দিল্লি রওনা দিতে চন্ডিগড় এয়ারপোর্টে পৌঁছান বলিউড অভিনেত্রী। সেখানেই ঘটে ওই অনভিপ্রেৎ ঘটনা।
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। এর মাঝেই নড়েচড়ে বসে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)। কুলবিন্দর কৌর নামের ওই নারী জওয়ানকে তড়িৎ সাসপেন্ড করেছে সংস্থাটি।
সিআইএসএফের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, ওই নারী জওয়ানের নামে স্থানীয় থানায় এফআইআর করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছান কঙ্গনা। এরপর সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় সিআইএসএফের ওই নারী জওয়ান তারকা সংসদ সদস্যের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় তিনি নাকি কঙ্গনাকে চড় মারেন। এর পরে কঙ্গনার সঙ্গে থাকা একজন পালটা চড় মারেন ওই জওয়ানকে। কিন্তু কী নিয়ে ঝামেলা? কেন কঙ্গনাকে চড় মারেন ওই নারী জওয়ান?
পরে ওই সিআইএসএফ জওয়ান নিজের মুখেই জানান গোটা ঘটনা। কুলবিন্দর কৌর নামের অভিযুক্ত ওই জওয়ান জানান, কৃষক আন্দোলনের সময়ে কঙ্গনা যে মন্তব্য করেছিলেন, সেটা তার মোটেই পছন্দ হয়নি। কুলবিন্দর কৌরের ভাষায়, ‘উনি (কঙ্গনা) কি ওখানে বসেছিলেন? উনি যে মন্তব্য করেছিলেন। আমার মা ওই আন্দোলনে বসেছিল।’
মূলত কৃষক আন্দোলনের সময় কঙ্গনা বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ১০০ টাকার জন্য দিল্লির রাস্তায় বসে পড়েছেন কৃষকরা। সেই পুরোনো মন্তব্যের জন্যই এদিন কঙ্গনাকে চড় মেরেছেন তিনি।
এদিকে ঘটনার পর কঙ্গনা সাংবাদিকদের বলেন, তার কাছে প্রচুর ফোন আসছে। শুভানুধ্যায়ীরা, সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করছেন, তিনি কেমন আছেন। তাদের সবাইকে প্রথমেই তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
কঙ্গনা আরও বলেন, ‘আজ চন্ডিগড় বিমানবন্দরে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি সিকিওরিটি চেকের সময়ে ঘটেছে। সিকিওরিটি চেক করে যখনই বেরিয়েছি, তখন অন্য কেবিনে যে নারী ছিলেন, যিনি ওই কেবিনের নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন, তিনি সিআইএসএফ জওয়ান। উনি পাশ থেকে এসে আমার মুখে চড় মারেন। গালি দিতে শুরু করেন।’
সদ্য বিজয়ী বিজেপি সংসদ সদস্যের বক্তব্য, এর পরে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, এমন কাণ্ড কেন ঘটাচ্ছেন? উত্তরে ওই জওয়ান নাকি বলেন, তিনি কৃষক আন্দোলনের সমর্থক।
এর পরেই কঙ্গনা প্রশ্ন রাখেন, ‘আমি নিরাপদে আছি ঠিকই, কিন্তু আমার চিন্তা, যে আতঙ্কবাদ এবং উগ্রবাদ পাঞ্জাবে বাড়ছে, সেটি আমরা কী করে নিয়ন্ত্রণ করব?’ উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে ৭৪ হাজার ভোটে জয়ী হন কঙ্গনা। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।