রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধামন্ত্রী ইমরান খানকে খালাস দিয়েছে দেশটির হাইকোর্ট। সোমবার (০৩ জুন) তার আইনজীবী ও দলের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ মামলায় খালাস পেলেও কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না ইমরান খান। কারণ তিনি আরও কিছু মামলায় অভিযুক্ত আছেন। খবর রয়টার্সের
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি ইমরান খান ও শাহ মেহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির নিম্ন আদালত। পরে ওই রায় বাতিল চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেন পিটিআইয়ের আইনজীবীরা।
সোমবার সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সংক্ষিপ্ত রায়ে ইমরান ও কুরেশিকে মামলা থেকে মুক্তি দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেবের সম্মিলিত বেঞ্চ।
২০২২ সালের ২৭ মার্চ ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য ফাঁস সংক্রান্ত বিতর্ক শুরু হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর প্রায় ২ সপ্তাহ আগে এক জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় একটি চিঠি দেখিয়ে বলেছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বাইরের দেশের সরকারের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন এবং এই চিঠিতে তার প্রমাণ রয়েছে।
এরপর বিরোধীদলীয় এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েকদিন পর ১০ এপ্রিল এক জনসভায় ইমরান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দক্ষিণ ও মধ্য-এশিয়া বিভাগের প্রধান ডোনাল্ড লুর সঙ্গে সেই দেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রস্তাব করেছিলেন ডোনাল্ড লু।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ইমরান খানের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।