ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রার্থী লড়াই করার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন ইরানি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সাবেক কমান্ডার ওয়াহিদ হাঘানিয়ান। তবে তার বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।
ওয়াহিদ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। ইরান ও ইরানের বাইরে নিপীড়নের অভিযোগে ২০১৯ সালে তিনিসহ ৯ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। যদিও ইরানের দাবি, বেশিরভাগ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভিত্তিহীন অভিযোগের ওপর নির্ভর করেই দেয়া হয়েছে।
নিবন্ধন করার পর ওয়াহিদ সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রেসিডেন্সি ও সর্বোচ্চ নেতার কার্যালয়ে ৪৫ বছর কাজের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে প্রার্থী হিসেবে তিনি নিবন্ধন করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন শুরু হয়। এর মাধ্যমে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইব্রাহিম রাইসির স্থলে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তোড়জোড় শুরু করে সুন্নিপ্রধান দেশটি।
শনিবার একজন নির্বাচনী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, বৃহস্পতিবার নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর থেকে ১৭ জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিবন্ধন করেছেন। আগামী ১১ জুন প্রার্থীদের একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ১২ সদস্যের গার্ডিয়ান পরিষদ। এই পরিষদের সদস্যদের নিয়োগ দেন ইরানি সর্বোচ্চ নেতা।
মূলত ২০২৫ সালে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে গত ১৯ মে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি মারা গেলে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ খালি হয়। তারপরই ২৮ জুন আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তেহরান।
গত ১৯ মে আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফার পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সোমবার তাদের হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায় উদ্ধার দল। তবে এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ ৯ জন নিহত হন।
রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের সংবিধান অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে (৬৮) ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বর্তমানে মোখবারই রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন। তার অন্যতম দায়িত্ব ৫০ দিনের ভেতরে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা।